মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সর্বত্রই গত কয়েক দিন থেকে একটু একটু করে শীত আসতে শুরু করেছে। শীতের আগমনে প্রত্যন্ত পল্লী এলাকা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতে ধুনকর আর লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। জগন্নাথপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা পড়ছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে যাচ্ছে। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে জগন্নাথপুরে কিছুটা শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারণে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি ধুনকর আর গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করেছেন। তেপ-তোষাক তৈরির অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কারিগররা। টেইলারগুলোতেও ভিড় করছে মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জগন্নাথপুর বাজার, কেশবপুর বাজর, ভবের বাজার, লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ দিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। জগন্নাথপুর পৌর শহর এলাকার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর জানান, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, শিমল তুলা ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ও শিশু তুলা ১৭০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়াতালী দিয়ে মেরামত করেছেন। জগন্নাথপুরে একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। পৌর শহরের বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকার একজন ব্যক্তি জানান, গত বার ১২০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ২০০০ টাকা খরচ পড়ছে।
আজকের নলজুর/১৬নভেম্বর২৪/আরএন