জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুুতিসভায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া যোগদানের পর থেকে বৈষম্যমূলক’ আচরণ করছেন নবাগত ইউএনও বরকত উল্লাহ ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত প্রস্তুুতি সভায় দাওয়াতপত্র পাননি জগন্নাথপুরের মূলধারার পেশাধারী সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া ওই সভায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন শ্রেণীর নেতৃবৃন্দের কোনো ধরণের বক্তব্য কিংবা মতামত না নিয়ে ইউএনও নিজে একাই বক্তব্য দিয়ে নিজে কমিটি করার ঘোষণা দিয়ে সভার সমাপ্তি করেন।
নিয়ম অনুয়ায়ী সভায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিত্বে বিজয় দিবস উদযাপন লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্হাপনা কমিটিসহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করার কথা।
সভায় অংশ নেওয়া এক গণমাধ্যম কর্মী জানান, নিয়ম অনুযায়ী সভায় আলোচনা সাপেক্ষে মহান বিজয় দিবস পালনের লক্ষে সার্বিক ব্যবস্হাপনা কমিটি সহ বিভিন্ন উপ কমিটি করা হয়ে থাকে। কিন্তুু ব্যতিক্রম ঘটেছে এবার। ইউএনও নিজেই বক্তব্য দিয়ে সভার সমাপ্তি করেছেন।
জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, নবাগত ইউএনও বরকত উল্লাহ যোগদানের পর মূলধারার সাংবাদিকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মহান বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াপত্র পাচ্ছেন না। আমি নিজেও পাইনি। প্রায় ৩৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করছি।এধরনের ঘটনা এই প্রথম।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাধী আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টার বলেন, দাওয়াত পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সভায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন পযার্য়ের ব্যক্তিবর্গের মতামত না দিয়ে ইউএনও একাই বক্তব্য দিয়ে সভার কার্য সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি নিজেও দাওয়াত পাননি। বিজয়ের দিবসের মতো প্রস্তুতি সভায় সবার অংশ গ্রহণ উচিত। জগন্নাথপুর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই দাওয়াত পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
এসব বিষয় জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আজকের নলজুর/সিপন/বিডিএন/০৫-১২-২৪ইং