স্মৃতির আয়না…..

মির্জা জুয়েল আমিন, লন্ডন থেকে :-

আত্মীয়তার সম্পর্কে এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল আমার মামাতো বোনের ছেলে আমার ভাগ্নে। দিরাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাড়ল গ্রামের রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম। পাবেলের শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্র ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ভিপি মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগঠনের পক্ষে সুনামগঞ্জে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন।

সুনামগঞ্জ বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি, বিভিন্ন সময় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন,এছাড়া দিরাই-শাল্লা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সমন্বয়কারী, দিরাই উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং ৩/৪ মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন‌ বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।‌

পাবেলের চাচা( তাঁর বাবার চাচাতো ভাই)মরহুম গোলাম জিলানী চৌধুরী ছিলেন ১৯৭৯ সালে দিরাই-শাল্লা আসনের বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ছাত্র জীবন থেকেই নম্র ভদ্র অমায়িক স্বভাবের অধিকারী পাবেল চৌধুরী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, দীর্ঘদিন দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।‌এছাডাও সিলেট এমসি কলেজ, সিলেট ল কলেজ ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবেও সিলেট জর্জকোটে সুনামের সাথে কাজ করেছেন এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল।

যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় পাবেল চৌধুরী।এক মেয়াদে যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর যাবত পাবেল চৌধুরী দিরাই-শাল্লায় বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য কাজ করছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাঁকে প্রাথমিক ভাবে মনোনয়ন দেয়।

আমি যে বিষয়টি বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করছি এডভোকেট পাবেল ২০১৮ সালের পর থেকে দিরাই-শাল্লার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে সবসময় থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়, ভয়াবহ বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময় এবং এবার রমজানে দিরাই-শাল্লার সবকটি ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার আয়োজন আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে।‌

আমি এডভোকেট পাবেলের মধ্যে তার বাবাকে দেখতে পাচ্ছি। দিরাই-শাল্লার মানুষ ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা যেভাবে মৃত্যুর পুর্বের দিন পর্যন্ত তার বাবাকে তাদের সুখে-দুখে পাশে পেয়েছিলো,তেমনি এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেলকে আজীবন তাঁরা তাঁদের পাশে পাবে একথা আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি। আমি এডভোকেট পাবেল এর উত্তোরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

সহ-সম্পাদক : মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা।

আজকের নলজুর/জুয়েল/বিডিএন/১৮-১২-২৪ইং